বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার। সেই টাকা মেটাতে পারেনি বাংলাদেশের মহ ইউনুস সরকার। ফলে কথা মতোই বিদ্য়ুত্ সরবারহ কম করে দিয়েছে আদানি গ্রুপ। এবার আরও ১০ শতাংশ বিদ্যুত্ সরবারহ কম করল আদানি গোষ্ঠী। ফলে বাংলাদেশে তারা মোট ৬০ শতাংশ বিদ্যুত্ সরবারহ কম করে দিল আদানি শিল্প গোষ্ঠী। ফলে প্রবল বিপাকে বাংলাদেশ।

অক্টোবরের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় আদানি গ্রুপ। এখন নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়েছে তারা। শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতেই ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি গ্রুপ। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে গ্রুপটি। কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে সরবরাহ ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান সংবাদসংস্থাকে বলেন, আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি। কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে আমাদের ব্ল্যামেইল করতে দেব না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের  এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে দেওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করার পরও আদানির কাছ থেকে কম বিদ্যুৎ আসছে।